Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta
Banglasahitta

Welcome to Banglasahitta

One Step to the Heart

Banglasahitta

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড পরিচয় দাও! শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সকল খন্ডের ব্যাখ্যা

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ু চণ্ডীদাস নামক জনৈক মধ্যযুগীয় কবি রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যানকাব্য । ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে অযত্নরক্ষিত অবস্থায় এই কাব্যের একটি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে তারই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়; যদিও কারও কারও মতে মূল গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। বৌদ্ধ- সহজীয়া গ্রন্থ চর্যাপদের পর এটিই আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন।

পুঁথি পরিচিতি :

১) পুঁথিটি দুর্ভাঁজ করা তুলোট কাগজে লেখা—উভয় পৃষ্ঠায় লেখা।

২) পুঁথিটি খণ্ডিত। এর প্রথম দুটি পাতা, মাঝের কিছু পাতা এবং ২২৬-এর পর আর কোনো পাতা মেলেনি। ৩-৮, ১০- ১৫, ১৭/২, ১৮, ১৯/২, ২০-৪০, ৪২-৮৭, ৮৮/১, ৮৯-৯২, ৯৩/১, ৯৪-৯৭, ৯৮/২, ৯৯-১০৩, ১১২-১৪৪, ১৫২-২২৬ পুঁথিটিতে এই পাতাগুলি আছে।আর যে পত্র/পৃষ্ঠাগুলি নেই সেগুলি হলো—- ১, ২, ৯, ১৬, ১৭/১, ১৯/১, ৪১, ৮৮/২, ৯৩/২, ৯৮/১, ১০৪-১১১, ১৪৫-১৫১।

৩) প্রতিটি পৃষ্ঠায় সাধারণত ৭ টি করে লাইন।তবে ৩-১৫ পর্যন্ত, এই ১৩ টি পত্রে ৮ টি করে লাইন

৪) পুঁথিটিতে মোট বাংলা গান বা পদ আছে—৪১৮টি। সংস্কৃত শ্লোক আছে ১৬১ টি।

খন্ড বিভাগ :

বড়ু চণ্ডীদাসের “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্য বাংলা সাহিত্যের প্রথম আখ্যান কাব্য। প্রথম কাহিনী কবিতা। এই কাহিনীটি মোট ১৩ খন্ডে বিভক্ত-

১) জন্ম খন্ড,

২) তাম্বুল খন্ড,

৩) দান খন্ড,

৪) নৌকা খন্ড,

৫) ভার খন্ড,

৬) ছত্র খণ্ড,

৭) বৃন্দাবন খন্ড,

৮) কালীয়দমন খন্ড,

৯) যমুনা খন্ড,

১০) হার খন্ড,

১১) বাণ খণ্ড,

১২) বংশী খন্ড ও

১৩) রাধাবিরহ।

কোন খণ্ডে কত পদ :

জন্মখণ্ড > ৯

তাম্বুল খণ্ড > ২৬

দানখণ্ড > ১১২

নৌকা খণ্ড > ৩০

ভারখণ্ড > ২৮

ছত্রখণ্ড > ৯

বৃন্দাবনখণ্ড > ৩০

কালীয়দমন খণ্ড > ১০

যমুনাখন্ড > ২২

হারখণ্ড > ৫

বাণখণ্ড > ২৭

বংশীখণ্ড > ৪১

রাধাবিরহ > ৬৯

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড পরিচয়:

জন্ম খন্ড:

এটি খন্ডিত খন্ড

১) অথ জন্মখন্ড দিয়ে শুরু।

২) মোট কবিতা বা পদ–৯

৩) সংস্কৃত শ্লোক–৩

৪) রাগরাগিণী –৫

৫) এই খন্ডে কৃষ্ণ ও হলধর (বলরাম) এর জন্মের কথা রয়েছে।

৬) কৃষ্ণ: রোহিনী নক্ষত্রে অষ্ঠমী তিথিতে এক অন্ধকার বর্ষার রাতে জন্ম। সেই রাতে পিতা বসুদেব গোকুলে যশোদার কাছে রেখে আসে। কৃষ্ণের পরনে পীতবস্ত্র ও হাতে বাঁশী,বত্রিশ রাজলক্ষণযুক্ত।

৭)রাধা: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে রাধার মা পদুমা বা পদ্মা,পিতা সাগর।

ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে: মা কলাবতী, পিতা- বৃষভানু।

পদ্মাপুরাণে: মা কীর্তিদা, পিতা বৃষভানু

তাম্বুল খন্ড :

১) খন্ডিত খন্ড।

২) মোট পদ—২৬ টি।

৩) সংস্কৃত শ্লোক–৭ টি।

৪) রাগরাগিণী — ১০ টি।

৫) এখানে পাহাড়ীআ রাগের পদ বেশী।

৬) এই খন্ডে রাধা বড়ায়ির কাছ থেকে হারিয়ে যায়।

৭) এই খন্ডে রাধার নাম চন্দ্রাবলী পাওয়া যায়।

৮) এই খন্ডে প্রথম যমুনা নদীর নাম পাওয়া যায়।

৯) এই খন্ডে বড়ায়ির হাতে কৃষ্ণ কর্পূরবাসিত তাম্বুল ও চাঁপা নাগেশ্বর ফুল পাঠায়।

১০) এই খন্ডে রাধা বড়ায়িকে চড় মেরেছে।

১১) এই খন্ডে কৃষ্ণ ও বড়ায়ির মধ্যে কথা হয়েছিল যে কৃষ্ণ মহাদানী হয়ে কদমের তলে যমুনার তীরে বসে থাকবে

দান খন্ড:

এটি কাব্যের তৃতীয় খন্ড।

১) এটি খন্ডিত খন্ড।

২) এই খন্ডে সবচেয়ে বেশি পদ রয়েছে।

৩) মোট পদ -১১৩ টি।

৪) সংস্কৃত শ্লোক–৪৩ টি।

৫) রাগরাগিণী—২০টি।

৬) এই খন্ডে কৃষ্ণ মাহাদানী রূপে ষোল পন দাবী করে রাধার কাছে।

৭) এই খন্ডেই প্রথম রাধার বয়স ১১ বছর বলা হয়েছে।

৮) এই খন্ডে রাধার কাছে কৃষ্ণের নয় লক্ষ কড়ি এবং বারো বছরের মহাদান বাকী আছে বলেছে।

৯) এই খন্ডে কৃষ্ণ নিজেকে অসুরবিনাশী কালীয়দমনকারী শ্রীকৃষ্ণ রূপে পরিচায়িত করেছে।

১০) এই খন্ডে রাধা কৃষ্ণকে মামা-ভাগ্নীর কথা বললেও প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের জন্য দুই কোটি মুদ্রা দান চেয়ে বসে কৃষ্ণ।

১১) এই খন্ডেই প্রথম নিরুপায় রাধা বৃন্দাবনের মাঝে মিলন কৃষ্ণের সাথে মিলন ঘটায়।

নৌকা খন্ড :

এটি কাব্যের চতুর্থ খন্ড।

১) এটা প্রথম সম্পূর্ণ খন্ড

২) মোট পদ–৩০ টি।

৩) সংস্কৃত শ্লোক-১৩ টি।

৪) রাগরাগিণী -১১ টি।

৫) এই খন্ডে কৃষ্ণ ঘাটোয়াল সেজে রাধার কাছে সাতেসরী হার, সরস বচন, এবং আলিঙ্গন চেয়েছে।

৬) এই খন্ডে রাধার শাশুড়ির অনুমতি নিয়ে ষোলোশো গোপিনীর সঙ্গে মথুরার হাটে গেছে।

৭) শেষ পর্যন্ত এই খন্ডে রাধা কৃষ্ণকে দ্বিতীয় বার দেহদান করে।

৮) এই খন্ডেই প্রথম রাধার মনে মদন জাগে।

৯) এই খন্ডে কৃষ্ণ রাধাকে যমুনা নদীতে ডুবে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছে একথা বড়ায়ির কাছে স্বীকার করেছে।

ভার খন্ড:

এটি কাব্যের পঞ্চম খন্ড।

১) এটি খন্ডিত খন্ড।

২) মোট পদ–২৮/২৯টি।

৩) সংস্কৃত শ্লোক–১১ টি।

৪) রাগরাগিণী —-১৬টি।

৫) এই খন্ডে চামড় গাছের ডাল কাটার কথা আছে।

৬) এই খন্ডে প্রথম শরৎকালের কথা আছে।

৭) এই খন্ডে কৃষ্ণ মজুরিয়া সেজেছে।

৮) এই খন্ডে কৃষ্ণকে রতি দেবে বলে রাধা সমস্ত ভার বহন করিয়েছে।

৯) এই খন্ডে রাধা যমুনা নদী ভালোভাবে পার হতে পেরেছে।

১০) একটি বিশেষ লাইন “উলটি উলটি রাধা কাহ্নপানে চাহে”।

ছত্র খন্ড:

এটি কাব্যের ষষ্ঠ খন্ড।

১) খন্ডটি খন্ডিত।

২) মোট কবিতা বা পদ–৯ টি।

৩) সংস্কৃত শ্লোক–৬টি

৪) রাগরাগিণী –৮ টি।

৪) খন্ডটি শুরু– অথ ভারখন্ডান্তর্গত ছত্রখন্ড:’

৫) এই খন্ডটি হাট থেকে বাড়ি ফিরবার ঘটনা।

৬) এই খন্ডে রাধা-কৃষ্ণের তর্কাতর্কি হয়েছে।

৭) এই খন্ডে কৃষ্ণ রাধার মাথায় ছাতা ধরলে তাকে কুঞ্জবনে সুরতি দেবে বলেছে….. কিন্তু খন্ডিত বলে রতি দিয়েছিল কিনা জানা যায় নি।

বৃন্দাবন খন্ড:

এটি কাব্যের সপ্তম খন্ড।

১) এটিও খন্ডিত খন্ড। ২) মোট পদ -৩০ টি। ৩) সংস্কৃত শ্লোক–১১ টি।

৪) রাগরাগিণী –১১ টি।

৫) এই খন্ডে রাধার ব্রতের ফুল তুলবার জন্য বৃন্দাবন যাওয়ার কথা আছে।

৬) এই খন্ডে কালিন্দীর তীরে ধীর বায়ু বইছে উল্লেখ আছে।

৭) এই খন্ডে কৃষ্ণ ষোলোশো গোপীকে তুষ্ট করতে বহুমূর্তি হয়ে তাদের বিলাস করিয়েছে।

৮) এই খন্ডে কৃষ্ণ রাধার চরণযুগল হৃদয়ে ধারণ করার কথা আছে।

৯) এইখানে চুম্বকোল কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।

১০) এই খন্ডেই তৃতীয় বার প্রথম দুই জনের ইচ্ছাতেই মিলন হয়েছে।

১১) এই খন্ডের অনেক কবিতার সঙ্গে বৈষ্ণব পদাবলীর অনেক পদের মিল দপখা যায়।

১২) এই খন্ডে জয়দেবেরর প্রভাব আছে।

কালীয়দমন খন্ড:

কবি প্রদত্ত নাম–যমুনাখন্ডান্তর্গত কালীয়দমন খন্ড।

১) এই খন্ডটি সম্পূর্ণ পাওয়া গেছে।

২) সম্পূর্ণের দিক থেকে দ্বিতীয় খন্ড।

৩) মোট পদ–১০ টি।

৪) সংস্কৃত শ্লোক–২টি।

৫) রাগরাগিণী — ৭ টি।

৬) এই খন্ডে বৃন্দাবনে যমুনানদীতে কালীদহ নামে একটা গভীর হ্রদের কথা আছে।

৭) এই হ্রদে কালীয় নামে একটি সাপ আছে। এবং কালীয়নাগ ও তার সর্পকুল কৃষ্ণকে দংশন করেছিল এবং কৃষ্ণ জ্ঞান হারিয়েছিল। বলভদ্র কৃষ্ণের জ্ঞান আওড়ালেন।

৮) এখানে নন্দ-যশোদার উল্লেখ আছে।

৯) এই খন্ডে কালীয়নাগদের সপরিবারে দক্ষিন সাগরে পাঠানোর কথা আছে।

১০) কালীয়দমন খন্ডের প্রধান ঘটনা কালীয়নাগ দমন।

যমুনা খন্ড :

এটি কাব্যের নবম খন্ড।

১) প্রাপ্ত পুঁথিতে এই খন্ডের কোনো নাম পাওয়া যায় নি। সম্পাদক নিজে বিবেচনা করে নাম দিয়েছেন যমুনাখন্ড।

২) কোনো কোনো গবেষক এর নাম দিয়েছেন–যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণ খন্ড

তাঁদের মতে কালীয়দমন খন্ড, বস্ত্রহরণ খন্ড ও হার খন্ড মিলিয়ে সম্পূর্ণ যমুনা খন্ড। কারণ এই তিনটি খন্ডের বিষয়বস্তুই যমুনার পটভূমিতে সৃষ্ট।

৩) এটি সম্পূর্ণ খন্ড।সম্পূর্ণের দিক থেকে এটি তৃতীয় খন্ড।

৪) মোট বাংলা কবিতা—২২টি।

৫) সংস্কৃত শ্লোক–১১ টি।

৬) রাগরাগিণী – ১১ টি।

৭) কাব্যটি শুরু– অথ যমুনান্তর্গত বস্ত্রহরণ খন্ড’

৮) এই খন্ডে কৃষ্ণ রাধাকে সোনার কিঙ্কিনী, দীর্ঘ পট্টবস্ত্র, রতন খচিত মাথার মুকুট ইত্যাদির প্রলোভন দেখিয়েছিল।

৯) এই খন্ডে রাধাকে কাছে ডেকে তার গালে একটা চুম্বন দিয়ে বসে।

১০) এই খন্ডে কৃষ্ণ পদ্মাবনে লুকিয়ে পড়েছিল।

১১) এই খন্ডে পরের দিন ভোরে কৃষ্ণ যমুনা তীরে কদম গাছে উঠে বসে ছিল।

১২) এই খন্ডে কৃষ্ণ রাধা ও গোপীদের বস্ত্রগুলি নিয়েছিল।

১৩) এই খন্ডে শেষপর্যন্ত রাধা অর্ধজলমগ্ন অবস্থায় ডানহাতে বুক ঢাকা দিয়ে ডাঙায় উঠে হাত জোড় করলে কৃষ্ণ বস্ত্ৰ ফিরিয়ে দিয়েছিল কিন্তু #হারটি দেয় নি।

১৪) বৈষ্ণব সমাজে এই খন্ডটি সাড়া ফেলেছিল। স্বয়ং চৈতন্যদেব বস্ত্রহরণ খন্ড অভিনয় করেছিলেন।

১৫) এখানে যে হারটির কথা বলা হয়েছে তা হল রাধার গলার গজমতি হার।

হার খন্ড:

এটি কাব্যের দশম খন্ড

১) এটি খন্ডিত খন্ড।

২) খন্ডের প্রথমেই পুঁথিতে আছে যমুনান্তর্গত হারখন্ড। কিন্তু শেষে নাম আছে ইতি যমুনাখন্ড।

৩) মোট কবিতা – ৫ টি।

৪) সংস্কৃত শ্লোক–৩টি।

৫) রাগরাগিণী –৩ টি।

৬) এখানে কৃষ্ণের নামে যশোদার কাছে অভিযোগ করলে কৃষ্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।

৭) এখানে বড়ায়ি আইহনকে রাধার হার হারানোর কথা বলেছেন।

৮) এখানে দামাল বলদের কথা উল্লেখ আছে।

বাণ খন্ড:

এটি কাব্যের একাদশ খন্ড ।

১) এটি সম্পূর্ণ খন্ড। সম্পূর্ণের দিক থেকে চতুর্থ। ২) মোট কবিতা–২৭ টি।

৩) সংস্কৃত শ্লোক–৮ টি।

৪) রাগরাগিণী –১৪ টি।

৫) এই খন্ডে বড়ায়ি কৃষ্ণকে বলেছে যে তুমি রাধাকে পুষ্পবাণ মারো। পাঁচ বাণে তার প্রাণ নাও

৬) এই খন্ডে রাধা বড়ায়ির পায়ে ধরে নিজেকে রক্ষার জন্য লক্ষমুদ্রার আংটি উপহার দিতে চেয়েছিল।

৭) এই খন্ডে রাধার বুকে বাণ মেরেছিল।

৮) এখানে তালপাতার পাখার বাতাসের কথা আছে।

৯) এই খন্ডে কৃষ্ণ বৃন্দাবনে লুকিয়ে পড়ে এবং পরে কুঞ্জবনে দেখা পেলে রাধা-কৃষ্ণের মিলন হয়।

১০) এই খন্ডেই প্রথম বড়ায়ি কৃষ্ণকে দোষারোপ করে।

বংশী খন্ড:

০) এটি কাব্যের দ্বাদশ খন্ড।

১) এটি সম্পূর্ণ খন্ড।সম্পূর্ণের দিক থেকে পঞ্চম।

২) সম্পূর্ণ হলেও ৬নং কবিতার আটটি অক্ষর পড়া যায় নি।

৩) মোট কবিতা–৪১ টি।

৪) সংস্কৃত শ্লোক–১৯ টি।

৫) রাগরাগিণী — ১৬ টি।

৬) এই খন্ডে কৃষ্ণ মোহন বাঁশী নির্মান করে। তাতে সাতটি সুন্দর ছিদ্র, তা সোনার সামি লাগানো ও হীরের কারুকার্য যুক্ত।

৭) এখানে বসন্তের কথা উল্লেখ আছে।

৮) এই খন্ডে রাধা বড়ায়ির কাছে কৃষ্ণকে আনার প্রার্থনা করেছে।

৯) এই খন্ডে বড়ায়ির নির্দেশে রাধা কৃষ্ণের বাঁশী চুরি করে কলসীতে ভরে বাড়ি নিয়ে গেছে।

১০) এই খন্ডে কৃষ্ণকে নিদ্রাচ্ছন্ন করেছিল বড়ায়ি।

১১) এখানে বাঁশী চুরির উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণ বাঁশী বাজিয়ে রাধাকে যেভাবে আকুল করেছিল তা থেকে রক্ষা পাওয়া।

রাধাবিরহ খন্ড:

এটি কাব্যের তেরোতম ও শেষ খন্ড।

১) পুঁথিতে খন্ড নামটি নেই, পুঁথিতে আছে অথ রাধাবিরহ।

২) মোট কবিতা–৬৯ টি।

৩) সংস্কৃত শ্লোক–১৭টি।

৪) রাগরাগিণী –২৩ টি।

৫) এই খন্ডে চৈত্র মাসের কথা আছে। কোকিলের ডাক। ৬) এই খন্ডে রাধা একরাত্রে কৃষ্ণ মিলনের স্বপ্ন দেখেছিল।

৭) এই খন্ডে রাধা যোগিনী বেশে দেশত্যাগী হতে চেয়েছে।

৮) রাধা বড়ায়িকে কৃষ্ণের সন্ধানে শতপল সোনা,কর্পূর বাসিত পান সুপুরি নিয়ে যেতে বলে।

৯) এই খন্ডে রাধা বৃন্দাবনের কদমতলায় মোহিনী বেশ ধারণ করেছে।

১০) এই খন্ডে রাধা কৃষ্ণের কাছে পূর্বের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।

১১) এই খন্ডে কৃষ্ণ শর্ত দিয়েছিল যে রাধা মনোহর বেশে আসুক,মধুর সম্ভাষণ করুক তাহলে কৃষ্ণ তাকে সাদরে গ্রহণ

করবে।

১২) এখানে রাধা-কৃষ্ণের মিলন ঘটেছে।

১৩) এখানেও বসন্তের উল্লেখ আছে।

১৪) এই খন্ডে কৃষ্ণ বলেছে– আমি ধন-ঐশ্বর্য ত্যাগ করতে পারি কিন্তু বাক্যজ্বালা সহ্য করতে পরি না।

১৫) এই খন্ডে রাধারই একমাত্র ভুমিকা এবং পুরোটায় তার কৃষ্ণকে হারিয়ে মর্মযন্ত্রনার কথা প্রকাশিত।

আরো পড়ুন: (বিষয়ের ঊপর ক্লিক করুন)

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের খন্ড পরিচয় দাও

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করো

বাংলা সাহিত্যে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের গুরুত্ব আলোচনা কর

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কার ও প্রকাশ সম্পর্কে লিখুন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের নামকরণ প্রসঙ্গে লিখুন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কবি বড়ু চণ্ডীদাস সম্পর্কে লিখুন

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য অবলম্বনে সমকালীন সমাজ বাস্তবতা ও সংস্কৃতির পরিচয়

আর্টিকেল’টি ভালো লাগলে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দিয়ে দিন অথবা পোস্ট করে রাখুন। তাতে আপনি যেকোনো সময় আর্টিকেলটি খুঁজে পাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, তাতে আপনার বন্ধুরাও আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবে।

গৌরব রায়

বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বাংলাদেশ।

লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে: ক্লিক করুন

6.7k

SHARES

Related articles

কাজী ইমদাদুল হক এর জীবন ও সাহিত্যকর্ম

কাজী ইমদাদুল হক (৪ নভেম্বর ১৮৮২ – ২০ মার্চ ১৯২৬) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন প্রখ্যাত বাঙালি লেখক, শিক্ষাবিদ, এবং সমাজকর্মী। তার সাহিত্যকর্ম এবং শিক্ষাবিষয়ক অবদানের

Read More

কাজী মোতাহার হোসেন এর জীবন ও সাহিত্যকর্ম

কাজী মোতাহার হোসেন (৩০ জুলাই, ১৮৯৭ – ৯ অক্টোবর, ১৯৮১) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি পরিসংখ্যানবিদ ও সাহিত্যিক। তাঁর পৈতৃক বাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা

Read More

ধ্বনিবিজ্ঞান কী বা ধ্বনিবিজ্ঞান কাকে বলে? ধ্বনিবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার পরিচয় দাও!

ধ্বনিবিজ্ঞান: ধ্বনিবিজ্ঞান হচ্ছে বাক্ ধ্বনির বিশ্লেষণ। বাগ্‌ধ্বনি সম্পর্কে পঠন-পাঠনকে বলা হয় ‘ধ্বনিবিজ্ঞান’। The science, study, analysis and classification of sounds, including the study of their

Read More

ধ্বনিবিজ্ঞান কী? ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্বের পারস্পারিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর!

ধ্বনিবিজ্ঞান হচ্ছে বাক ধ্বনির বিশ্লেষণ। The science, study, analysis and classification of sounds, including the study of their production, transmission and perception. অপরদিকে ধ্বনিতত্ত্ব হলো

Read More
Gourab Roy

Gourab Roy

I completed my Honors Degree in Bangla from Shahjalal University of Science & Technology in 2022. Now, I work across multiple genres, combining creativity with an entrepreneurial vision.

বিশ্বসেরা ২০ টি বই রিভিউ

The content is copyright protected.