অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য রচনার বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্যধর্মীতা বিশ্লেষণে নিম্নলিখিত ৩০টি দিক তুলে ধরা যেতে পারে:
রোমান্টিকতা: তাঁর লেখায় কল্পনা ও অনুভূতির গভীরতা লক্ষ্যণীয়।
দেশাত্মবোধ: ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা তাঁর রচনায় প্রতিফলিত।
বাঙালি ঐতিহ্যের প্রকাশ: বাংলার পুরনো রীতিনীতি ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ রয়েছে।
চিত্রশিল্পীর মন: তাঁর লেখায় চিত্রশিল্পের প্রভাব রয়েছে, যা ভাষার অলঙ্কারিকতাকে বাড়িয়ে তোলে।
রূপকধর্মীতা: প্রতীকী ও রূপকধর্মী উপস্থাপনা তার লেখার একটি মূল বৈশিষ্ট্য।
আধ্যাত্মিকতা: তাঁর রচনায় আধ্যাত্মিক চিন্তা ও ভাবনার প্রবল প্রভাব রয়েছে।
লোককাহিনী ও পুরাণের ব্যবহার: তিনি লোককাহিনী ও পুরাণকে সাহিত্যে রূপ দিয়েছেন।
শৈল্পিক ভাষা: ভাষার শৈল্পিকতা ও শব্দের পরিমিত ব্যবহার লক্ষণীয়।
সুবিন্যস্ত গঠন: প্রতিটি রচনার মধ্যে বিন্যাসের সৌন্দর্য ও শৈল্পিকতা থাকে।
নান্দনিকতা: তার রচনায় নান্দনিক দিকগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
মানবিকতা: মানবিক মূল্যবোধ ও মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম বর্ণনা তাঁর লেখায় পাওয়া যায়।
অলঙ্কার প্রয়োগ: সাহিত্যিক অলঙ্কারের সুনিপুণ প্রয়োগ দেখা যায়।
উপমা ও রূপকের দক্ষ ব্যবহার: উপমা ও রূপক দিয়ে ভাব প্রকাশে দক্ষ।
স্বরূপ সন্ধান: চরিত্র ও ঘটনার স্বরূপ সন্ধান তাঁর সাহিত্য রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
শান্ত, মৃদু ও গম্ভীর ভাব: তাঁর লেখায় একটি শান্ত, মৃদু ও গম্ভীর ভাব বিদ্যমান।
নিবিড় অন্তর্দৃষ্টি: মানব মনের গভীরে প্রবেশ করার ক্ষমতা রয়েছে।
শিল্পীসুলভ মনোভাব: তিনি সাহিত্যে চিত্রশিল্পীর চোখ দিয়ে বিশ্বকে দেখার চেষ্টা করেছেন।
প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা: প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় পারদর্শিতা।
চরিত্রের গভীরতা: চরিত্রের গভীরতা ও তাদের মানসিক অবস্থার সূক্ষ্ম বর্ণনা।
ঐতিহাসিক সচেতনতা: ইতিহাস ও ঐতিহাসিক চরিত্রের প্রতি একটি বিশেষ আগ্রহ ছিল।
মানবতার প্রতি দরদ: মানবতার প্রতি গভীর দরদ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি।
সামাজিক সচেতনতা: সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতি তাঁর লেখা সজাগ ছিল।
কল্পনাশক্তি: তাঁর লেখায় কল্পনার বৈচিত্র্য ও সৃজনশীলতা লক্ষণীয়।
দার্শনিকতা: জীবন ও মৃত্যুর দার্শনিকতা নিয়ে তাঁর গভীর চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
শব্দের অপূর্ব ব্যবহার: শব্দের নিখুঁত ও উপযুক্ত ব্যবহারে পারদর্শিতা।
সংস্কৃতি ও সভ্যতার সমালোচনা: তিনি তার লেখায় সমাজের কিছু প্রচলিত রীতির সমালোচনা করেছেন।
বিষয়বৈচিত্র্য: তাঁর রচনায় বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য দেখা যায়।
মিথ ও রূপকথার পুনরুজ্জীবন: পুরাণ ও রূপকথাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রবণতা।
ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক: ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর লেখা গভীর।
আন্তর্জাতিক প্রভাব: বিদেশি সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রভাবও কিছু ক্ষেত্রে তাঁর লেখায় পরিলক্ষিত হয়।